ইয়েমেনে সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষে নিহত ১৪৪

ইয়েমেনে সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষে নিহত ১৪৪

ইয়েমেনের সরকারি বাহিনী এবং দেশটির সশস্ত্র হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ে কমপক্ষে ১৪৪ জন নিহত হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে প্রাণঘাতী এই সংঘর্ষ হয় কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উত্তরাঞ্চলীয় শহর মারিবে। দেশটির সামরিক বাহিনী এবং মেডিকেল সূত্রের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

সামরিক বাহিনীর একাধিক সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, গত চারদিনে সরকারের অনুগত অন্তত ৫১ জন সেনা নিহত হয়েছে। বেশির ভাগের মৃত্যু হয়েছে শাবওয়া প্রদেশ এবং পাশের মারিব গভর্নরেটে। এছাড়া সরকার পক্ষের হয়ে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট বাহিনীর বিমান হামলায় ইরান সমর্থিত অন্তত ৯৩ জন হুতি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।

হুতি বিদ্রোহীরা লড়াই-সংঘর্ষে তাদের যোদ্ধা নিহত হওয়ার হিসাব সচরাচর জানায় না। তবে সামরিক বাহিনীর দেওয়া এই তথ্য মেডিকেল সূত্রগুলোও নিশ্চিত করেছে। ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে সরকার নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ অঞ্চল মারিব দখলে নিতে গত ফেব্রুয়ারিতে হুতিরা অভিযান শুরু করেছিল। এরপর থেকে সংঘর্ষে দুই পক্ষের কয়েকশ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

এএফপি বলছে, শান্তি আলোচনায় হুতিদের দরকষাকষির অবস্থানকে শক্তিশালী করবে  তেলসমৃদ্ধ ওই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সৌদি জোট সমর্থিত সরকারি বাহিনীর সূত্রগুলোর মাধ্যমে আরও জানা যাচ্ছে, হুতিরা সেখানে তাদের আধিপত্য বাড়িয়ে ইতোমধ্যে চারটি জেলা দখল করেছে। এর মধ্যে একটি মারিবের, অপর তিনটি শাবওয়া প্রদেশের।

এক সামরিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ‘শাবওয়ারের তিন জেলা দখলে দুই পক্ষের মধ্যে তেমন সংঘর্ষ হয়নি এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শহর তিনটির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নিতে সমর্থ হয় ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা।’

শিয়া মতাবলম্বী হুতি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করলে ২০১৪ সালে ইয়েমেনে এই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ইয়েমেনের তৎকালীন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আব্দরাব্বু মনসুর হাদি দেশত্যাগ করেন। ২০১৫ সালের মার্চে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবসহ আটটি সুন্নি মুসলিম আরব দেশ জোট গঠন করে অভিযান শুরু করে। তাদের সহযোগিতা করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

আপনি আরও পড়তে পারেন